ই- কমার্সের বিস্তৃতি।


 

বাংলাদেশে Amazon.com এবং Alibaba.com: একটি বিশ্লেষণ


Amazon.com এবং Alibaba.com হলো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এদের মধ্যে Amazon মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক, যেখানে Alibaba চীনা প্রতিষ্ঠান। এ দুটি প্ল্যাটফর্ম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে এবং ই-কমার্সের জগতে দারুণ প্রভাব রাখে। বাংলাদেশে এই দুই প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা নিচে দেওয়া হলো।



---


Amazon.com-এর বাংলাদেশে প্রাপ্যতা


Amazon.com এখনো সরাসরি বাংলাদেশে তার কার্যক্রম শুরু করেনি। তবে, বাংলাদেশি ক্রেতারা কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে Amazon থেকে পণ্য অর্ডার করতে পারেন।


1. তৃতীয় পক্ষের সেবা: কিছু ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠান Amazon থেকে পণ্য এনে বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়।



2. ডিজিটাল সেবা: বাংলাদেশ থেকে Amazon Web Services (AWS)-এর মতো ক্লাউড সেবা ব্যবহার করা যায়।



3. পেমেন্টের চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে সরাসরি অর্ডার করা কঠিন।





---


Alibaba.com-এর বাংলাদেশে প্রাপ্যতা


Alibaba.com বাংলাদেশে সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং এটি বাংলাদেশের বাজারে বেশ পরিচিত।


1. ব্যবসায়িক সুবিধা: Alibaba মূলত B2B (Business-to-Business) মডেলে কাজ করে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা এখানে কাঁচামাল ও পণ্য অর্ডার করে।



2. Daraz.com.bd: Daraz হলো Alibaba-এর একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে একটি নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।



3. পেমেন্ট সিস্টেম: Alibaba থেকে পণ্য আমদানি করতে LC (Letter of Credit) ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মতো পদ্ধতি সহজলভ্য।





---


বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ ও চ্যালেঞ্জ


বাংলাদেশে ই-কমার্স খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলো এখানে সরাসরি কার্যক্রম শুরু করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান:


1. লজিস্টিকস: আন্তর্জাতিক পণ্য বাংলাদেশে আনা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।



2. পেমেন্ট সিস্টেম: আন্তর্জাতিক লেনদেনের সীমাবদ্ধতা অনেকের জন্য সমস্যা তৈরি করে।



3. কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স: আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও নিয়মিত ঝামেলা মোকাবিলা করতে হয়।





---


উপসংহার


বাংলাদেশে Amazon এবং Alibaba-এর সরাসরি উপস্থিতি সীমিত হলেও, এদের সেবা আংশিকভাবে পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স বাজারে তাদের সরাসরি কার্যক্রম শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য স্থানীয় নীতি, পেমেন্ট সিস্টেম এবং লজিস্টিকস আরও উন্নত করতে হবে।


তথ্যসূত্র: বর্তমান পরিস্থিতি এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা।

Previous Post Next Post